রঙের বাক্স আর লেটারবক্স
- Get link
- X
- Other Apps
মাঝে মাঝে বড্ড মনখারাপ জমিয়ে রাখতে ইচ্ছে করে। পুরোনো হলদেটে ইনল্যান্ড চিঠির মতো। চিঠি কেউ লেখেই না আজকাল আর। আগে বছরে একবার বিজয়ার পর বড় মামা পাঠাতো।এখন তাও আসে না। বড্ড অভিমানে ঠোঁট ফুলিয়ে বসে থাকলে বেমানান হবে কি? বিশেষত অভিমান যখন নিজের ওপর। একটা বাড়ি খুঁজে দিতে পারে কেউ? সবজে খড়খড়ি দেওয়া কাঠের জানলা থাকবে, জানলা বেয়ে মাধবীলতা। আর বিকেল শেষের কমলা আলো লম্বা গরাদ পেরিয়ে পায়ের পাতা ছুঁয়ে যাবে। দেওয়াল সাজাবো পছন্দের ছবি দিয়ে, সেই যে কল্পায় মেঘের ছবি তুলেছিলাম। বা আমার সেই অপটু হাতের আঁকা ফ্রিডা কাহলোর পোট্রেটটা। সবার একটা নিজের কোণা হলেও থাকা দরকার। যেখানে চাইলেই টুক করে ফিরে আসা যায়। কোনোরকম এক্সপ্লানাশন ছাড়াই। এতো রং ভাবছি এদিকে রোজকার জীবনে তার বদলে ভাগ্যে জুটছে খালি ছাই রং। বিষণ্নতা না পলিউশন তা নিয়ে প্রশ্ন করলে আমি নিরূপা রায়। পুরোনো খবরের কাগজ জমানো আছে একটা ধারে। সবার নীচে বছর দশেক পুরোনো আঁকার খাতা। ক্রেয়নে আঁকা ডিস প্রপোর্শনেট মানুষ। আজকাল খাতা খুঁজতে হয় না। চোখ তুলে তাকালেই আসে পাশে চোখে পড়ে। হাত, পা, মাথার মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নেই। ধুলো পরে চেনাই যায় না। রোজকার বদলে যাওয়াটাও পুরোনো হয় ঠিক ই। একটা লাল মেঝে থাকবে। চানাচুরের বাটি নিয়ে পা ছড়িয়ে হাহা হিহির জন্য। আর ছাদের কোণায় সবজে শ্যাওলা জমবে জুঁই ফুলের টবে। আমাদের সেই বারো মেসে শিউলি গাছটাও। আর সবচেয়ে জরুরী যেটা, একটা লেটার বক্স । কাঠের। লাল রং করা। তাতে চিঠি দিও। কারণ সমস্ত 'যোগাযোগ বন্ধ করা দেবতা বিরুদ্ধ' ।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment