Posts

Showing posts from July, 2016

পরিচিতি

জগতের যত কঠিন কাজ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ খুব সম্ভবত নিজের ইন্ট্রোডাকশান দেওয়া। আমি কে , আমি কী এর উত্তর দেওয়ার থেকে কঠিন কাজ নেই। আমার এই পুঁচকে ব্লগের বয়স খুব বেশিদিন না  এবং আদৌ কেউ এই ব্লগ পড়ে কিনা সে নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে , তাও  নিজের পরিচিতিটা দেওয়া উচিত, তা সে যত কঠিন কাজ ই হোক না কেন।  তাহলে শুরু করা যাক...... আমার নামঃ  -আমার ভাল নাম সেঁজুতি , ইংরিজিতে বানান বিভ্রাটে বেশির ভাগ লোকের কাছে আমি সেঞ্জুতি  , তাই আমার ডাক নামটা আমার বেশি পছন্দের, সেটা হোল ঝিল্লী, এই নামটা আমার দিদার দেওয়া। ট্যাঁ ট্যাঁ  করে সারাদিন চিৎকার করতাম বলে হয়ত।  আমি কী করি? -এটার উত্তর দেওয়া সবচাইতে সহজ। আমি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াই। আমার বয়স কত? - আমার জন্ম নব্বই দশকের গোড়ার দিকে। বাকিটা আর বললাম না।  আমার ঠিকানা -কেন এই তো - http://choshmaebongityadi.blogspot.in  তবে আমি যেখানে 'থাকি' সে জায়গাটা হোল কোলকাতা। রিলেশানশিপ স্ট্যাটাস   - টারমিনালি সিঙ্গেল  রিলিজিয়াস ভিউস   - কি সব্বনাশের প্রশ্ন !  আমার কী ভালো লাগে? -হেহ! সুপার হিরো কমিক্স (বিশেষত হারলি কুইন এ

ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ

না আজ পঁচিশে বৈশাখ বা বাইশে শ্রাবণ না, তাই দাড়িওয়ালা বুড়োকে নিয়ে আদিখ্যেতা করার ও তেমন কারণ নেই। এটাকে একটা স্বীকারোক্তি ধরা যেতে পারে, আর তাছাড়া ব্লগ যখন আমার, মাঝে মাঝে ছড়ানো ও আমার বিশেষ কর্তব্য বই কি। একটা পাতা না হয় রইলো। ... দিদার বাড়িতে দেওয়ালে একটা রবীন্দ্রনাথের তেল রঙে আঁকা ছবি ছিল,সামনে দাঁড়ালে মনে হত  বেগুনী রঙা জোব্বা পরে দু সারি ছাতিম গাছের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমাকেই দেখছে।আমি বেশ ছোট তখন, দুপুরবেলা খেলছি, দুটো খাট হয়েছে দুটো দ্বীপ, আর মাঝের ফাঁকা জায়গাটা গনগনে আগুনে লাভার নদী। লাফ দিয়ে এধার ওধার করছি, হঠাত একটু হিসেবের ভুলে পা টা গেল ঐ ফাঁকে আটকে, কি মুশকিল, কিছুতেই বার করতে পারি না। দিদা ঘুমোচ্ছে, ডাকতেও পারছিনা। আর আমাদের গোটা বাড়িতে রবি ঠাকুর ছাড়া আর কোন ঠাকুরের ছবি ছিল না কোনদিন ই। ঠাকুর বলতে ওই একজনকেই চিনতাম। মনে প্রাণে ডাকছি , রবি ঠাকুর গো, আজকে বাঁচিয়ে দাও, একদম সোনা মেয়ে হয়ে যাব, আর বাঁদরামি করব না। দিদা ঘুম থেকে উঠে ওই দৃশ্য দেখে পা টেনে বার করবে কী, হেসে কুটিপাটি। সেদিন জেনেছিলাম রবি ঠাকুর আসলে নাকি কোন 'ঠাকুর' না।  বুড়োর লেখার সাথে আর পাঁচটা লোকের মতো