Posts

Showing posts from January, 2017

পরিচিতি

জগতের যত কঠিন কাজ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ খুব সম্ভবত নিজের ইন্ট্রোডাকশান দেওয়া। আমি কে , আমি কী এর উত্তর দেওয়ার থেকে কঠিন কাজ নেই। আমার এই পুঁচকে ব্লগের বয়স খুব বেশিদিন না  এবং আদৌ কেউ এই ব্লগ পড়ে কিনা সে নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে , তাও  নিজের পরিচিতিটা দেওয়া উচিত, তা সে যত কঠিন কাজ ই হোক না কেন।  তাহলে শুরু করা যাক...... আমার নামঃ  -আমার ভাল নাম সেঁজুতি , ইংরিজিতে বানান বিভ্রাটে বেশির ভাগ লোকের কাছে আমি সেঞ্জুতি  , তাই আমার ডাক নামটা আমার বেশি পছন্দের, সেটা হোল ঝিল্লী, এই নামটা আমার দিদার দেওয়া। ট্যাঁ ট্যাঁ  করে সারাদিন চিৎকার করতাম বলে হয়ত।  আমি কী করি? -এটার উত্তর দেওয়া সবচাইতে সহজ। আমি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াই। আমার বয়স কত? - আমার জন্ম নব্বই দশকের গোড়ার দিকে। বাকিটা আর বললাম না।  আমার ঠিকানা -কেন এই তো - http://choshmaebongityadi.blogspot.in  তবে আমি যেখানে 'থাকি' সে জায়গাটা হোল কোলকাতা। রিলেশানশিপ স্ট্যাটাস   - টারমিনালি সিঙ্গেল  রিলিজিয়াস ভিউস   - কি সব্বনাশের প্রশ্ন !  আমার কী ভালো লাগে? -হেহ! সুপার হিরো কমিক্স (বিশেষত হারলি কুইন এ

চাটনি, সোয়াগ এবং ইত্যাদি

চারতলায় হোস্টেলে আমার ঘরটা দিনের বেলায় যেমন গরম রাতে তেমনি ঠান্ডা। জানলা খুললেই সবুজের  বাহার। সবাই আলো নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে, অন্ধকারের মধ্যে থেকে গাছের অবয়বের ফাঁক দিয়ে গরিমা পার্কের অফিসটার টুং টুং করে জ্বলা নিয়ন আলো দেখা যায়।আর দরজা জানলা খুললেই পায়রারা এসে কুকীর্তি করে যান। প্রথম দিন বুঝতে না পেরে এসেই হাট করে জানলা খুলে দিয়েছিলাম, তারপর প্রায় আধা ঘন্টা ধরে 'হ্যাট!..হুশ! ভাগ!' করে লাফালাফি করে  খুব শিক্ষা হয়ে গেছে। ভাবখানা ওনাদেরই থাকার জায়গা আমরা এসে ঘোল পাকাচ্ছি।সূর্য ওঠে বেশ দেরিতে, অস্ত যায় তার থেকেও দেরিতে। সক্কাল বেলায় অন্ধকারের মধ্যে চাদর, শাল জড়ানো মূর্তিগুলো অফিসের দিকে রোজ যখন দৌড়ায় সে এক দেখার মতো দৃশ্যই হয় বটে। বেশ একটা ডিস্টপিয়ান নভেলের দৃশ্যের মতো। যখন লোকজন পুলিশের গুঁতো খেয়ে অন্ধকারে দৌড়ে পালায় খানিকটা সেইরকম লাগে। প্রথমদিন বেরিয়েই দেখি দুটো ময়ূর ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাকে ঘাড় কাত করে দেখে কিছুক্ষণ পরে 'উফ এ আবার কোন আপদ' এমন একটা ভারী বোরড এক্সপ্রেশন দিয়ে টুক টুক করে হেঁটে জঙ্গলের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল। শহরটা এখনও ঘুরে দেখতে পারিনি। তবে নতুন জায়গা বলে হয়তো ব

একটা বিচ্ছিরি প্রেমের গল্প

-এই, শুনছিস? -বল। -এরকম রেগে রেগে উত্তর দিচ্ছিস কেন? আমার কী দোষ বল। -তোর দোষ না তো কি আমার দোষ! তুই, তুই একটু আগে বুঝলেই আমাকে আজ এই সিচুয়েশনে পরতে হতো না। আচ্ছা তুই কী একটুও বুঝিস না। আমি পারব না, আমি কিছুতেই এটা পারব না। প্লিজ আমাকে যেতে দিস না...প্লিজ -এই বোকা মেয়ে! কাঁদছিস কেন। আমু তোকে খুব ভালো রাখবে দেখিস। কত স্মার্ট, হ্যান্ডসাম, সাকসেসফুল, তোর কোনো কষ্ট হবে না দেখিস। -এটা বলতে পারলি তুই! তুই লজ্জ্বা করছে না কথাগুলো বলতে! জানোয়ার। দূর হ। -আবার কাঁদে! আচ্ছা বল তুই এরকম কেন করছিস। কাকিমা কাকু কত খুশি, ওনারাও তো এটাই চাইছেন, আর তাছাড়া কদ্দিন আর এরকম ক্যাবলা মালকে নিয়ে তুই চলবি বল....ওই দেখো। আবার কাঁদে!আহ...শেষ দিনও তুই যদি এরকম কান্নাকাটি করিস তাহলে আমি কী করি বল। -তোর কী তাতে! কাকু কাকিমা কি চাইছেন সেটা দেখছিস, আর আমি? আমার চাওয়ার, আমার ইচ্ছের দাম নেই তোর কাছে। বেশ। আমি সব বুঝেছি। - বিশ্বাস কর, তুই ভালো থাকবি ওর কাছে। ও তোকে একটা কম্ফোর্টেবল লাইফ দেবে, আমি সেটা পারব না। তুই ভালো থাকবি খুব..বিশ্বাস কর। -চাই না ওই কম্ফোর্টেবল লাইফ। ও আমাকে মন খারাপ হলে লেকের ধার এনে দিতে প