Posts

Showing posts from 2016

পরিচিতি

জগতের যত কঠিন কাজ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ খুব সম্ভবত নিজের ইন্ট্রোডাকশান দেওয়া। আমি কে , আমি কী এর উত্তর দেওয়ার থেকে কঠিন কাজ নেই। আমার এই পুঁচকে ব্লগের বয়স খুব বেশিদিন না  এবং আদৌ কেউ এই ব্লগ পড়ে কিনা সে নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে , তাও  নিজের পরিচিতিটা দেওয়া উচিত, তা সে যত কঠিন কাজ ই হোক না কেন।  তাহলে শুরু করা যাক...... আমার নামঃ  -আমার ভাল নাম সেঁজুতি , ইংরিজিতে বানান বিভ্রাটে বেশির ভাগ লোকের কাছে আমি সেঞ্জুতি  , তাই আমার ডাক নামটা আমার বেশি পছন্দের, সেটা হোল ঝিল্লী, এই নামটা আমার দিদার দেওয়া। ট্যাঁ ট্যাঁ  করে সারাদিন চিৎকার করতাম বলে হয়ত।  আমি কী করি? -এটার উত্তর দেওয়া সবচাইতে সহজ। আমি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াই। আমার বয়স কত? - আমার জন্ম নব্বই দশকের গোড়ার দিকে। বাকিটা আর বললাম না।  আমার ঠিকানা -কেন এই তো - http://choshmaebongityadi.blogspot.in  তবে আমি যেখানে 'থাকি' সে জায়গাটা হোল কোলকাতা। রিলেশানশিপ স্ট্যাটাস   - টারমিনালি সিঙ্গেল  রিলিজিয়াস ভিউস   - কি সব্বনাশের প্রশ্ন !  আমার কী ভালো লাগে? -হেহ! সুপার হিরো কমিক্স (বিশেষত হারলি কুইন এ

ছড়ানোর শেষবেলা

Image
শেষ পর্ব ৬. 'হাতি মেরে সাথী' লাটাগুড়িতে শেষ দিন আজ।হোটেলে ফিরে কোনমতে হুড়মুড় করে রেডি হয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম বক্সার দিকে। জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়, বাজার, ফের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যখন দূর্গাপ্রসাদ অধিকারীর বাড়িতে পৌঁছলাম তখন প্রায় দুপুর দুটো। বক্সায় হোটেল বলতে তেমন নেই, সবই হোম স্টে। চারদিকে পাহাড় আর জঙ্গলের মধ্যে অল্প একটু সমতল জায়গায় গুটিকয়েক বাড়ি নিয়ে গোটা গ্রামটা। কাঠের খুঁটির ওপর বাড়ি, সিঁড়ি দিয়ে উঠেই টানা বারান্দা। সেখানে দেখি তিনজন পুঁচকে একটা ব্যাট বল নিয়ে বেজায় ব্যস্ত, আর তাদের বড় দিদি সব তদারক করছে। সবচেয়ে ছোটজনের বয়স দুই, আর তার বড় দুজনের আট, আর সবচেয়ে বড়জন রিটার বয়স চোদ্দ। খুদেটির নাম ঋষি, ভাব করার চেষ্টা করতে গেছিলাম, সে দুবার যা যা, আর  না না বলে ব্যাট হাতে দৌড় দিলো একটা,আর বড় দুজন, শুভ আর শর্মিলা, ভাইয়ের এরকম ব্যবহারে বেশ বিরক্ত হয়ে তাকে ধরার জন্য পেছন পেছন দৌড়ে রান্নাঘরের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল। আর রিটাও আমাদের দেখে তড়িঘড়ি আসুন বসুন বলে আমাদের ব্যাগ পত্র টানতে শুরু করলো। ভাবখানা পাকা গিন্নির মতন। স্কুল ছুটি চলছে কিনা, অতএব সব দায়িত্ব তো তারই। আর  অমন একটা বাচ্চা মেয়ে অত

বাঙালি জাতির জঙ্গল অভিযান

৫. সকাল ৫:১৫ ----করররিং ক্রিং করররিং ক্রিং -উম...হ্যালো.. -এই রেডি হ, আমি আর মেসো টিকিট কাটতে এসেছি, সবাইকে উঠতে বল, ফোন করলেই বেরিয়ে জিপ ভাড়ার জায়গাটায় চলে আসবি। -অ্যাঁ!  ------খুট----- মাআআআআআ....শিগগির ওঠো, বাবা রেডি হয়ে থাকতে বললো। ...... ৬:১৫ -তোর বাবারা কই? -ওই তো , ঐ তো বিস্কিট কালারের টুপি -আইছস! চল চল। প্রথম গাড়ি না হলে কিসু দেখতে পামু না। দাদা, চলুন চলুন...আরে জলদি চলেন না... -একি... তুমি হাঁপাচ্ছো কেন! মুখ টুখ লাল হয়ে গেছে! -আরে আমি ভীষণ এক্সসাইটেড। কাল বৃষ্টির জন্য বাইরাইতেই পারলাম না। আরে দাদা চলুন না। -হ্যাঁ হ্যাঁ, চলেন চলেন ৬:২৫ ক্যাঁচ ঘ্যাচ ঘরর ঘষ.... -ও কী। ও কী হল! গাড়ি থামালেন কেন।  -থামাই নাই, থাইম‍্যা গেল তো। -আরে বাকি গাড়ি গুলো তো এগিয়ে যাচ্ছে। -আরে দূর মশাই, খাড়ান না। এই রতনা, ইঞ্জিনটা দেখ দেখি --------৬:৪৫----- গর গর গড়রর... -উঠুন উঠুন, স্টার্ট নিসে ৭:০৫  পরপর সার দিয়ে জিপ চলছে, মাঝে মাঝে একটা দুটো ময়ূর বেজায় তাচ্ছিল্যের সাথে আমাদের দেখে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে আর চারপাশ থেকে অসংখ্য নাম না জানা পাখির ডাক শুনতে পাচ্ছি। কদিনের বৃষ্টিতে জঙ্গ

গ, ল আর প'র কথা

Image
আগের দিনের পর                                                 ১"আরো অনেকদূর পরের শহর..........." নিউ ম্যালে নেমে যখন ভাড়া গাড়ির উদ্দেশ্যে এগোচ্ছি ; সূর্যের তাপে চাঁদি ফাটার জোগাড় ।   আধপোড়া তন্দুরি হতে হতে প্রায় যখন ডুয়ার্সের ' ঠান্ডা ' আবহাওয়ার কথা ভুলতে বসেছি , গাড়িটা টুক করে রাস্তা থেকে নেমে একটা সবুজ গাছপালা ঘেরা রাস্তায় ঢুকে পড়ল ; রিসর্টে ঢুকছি যখন তখন চারপাশের উষ্ণতা আবার বেশ কম । রিসর্টটি চমৎকার সে বিষয়ে সন্দেহ নেই । যেদিকে দেখা যায় সবুজ , ঘেরা যায়গার মধ্যে ছোট ছোট কটেজ স্টাইলের ঘর আর আরেকটু এগোলেই বাঁশের সাঁকোওয়ালা ছোট ছোট পুল ।   ওর ওপর উঠে বেশ হাত পা কোমর বাঁকিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করতে করতেই কানে এলো , ' আহা ! ওভাবে না , এগিয়ে এগিয়ে ... আরে অতটা না ,' ' তুমি না চুলটাকে ওদিকে নাও ... । ' বেশ কিছুক্ষণ পর কৌতূহল চাপতে না পারে ঘাড় বার করে দেখি দুজন খুব মন দিয়ে ছবি তুলছেন । অন্যলোকের প্রাইভেসিতে হামলা করছি মনে হচ্ছিল