Posts

Showing posts from February, 2016

পরিচিতি

জগতের যত কঠিন কাজ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ খুব সম্ভবত নিজের ইন্ট্রোডাকশান দেওয়া। আমি কে , আমি কী এর উত্তর দেওয়ার থেকে কঠিন কাজ নেই। আমার এই পুঁচকে ব্লগের বয়স খুব বেশিদিন না  এবং আদৌ কেউ এই ব্লগ পড়ে কিনা সে নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে , তাও  নিজের পরিচিতিটা দেওয়া উচিত, তা সে যত কঠিন কাজ ই হোক না কেন।  তাহলে শুরু করা যাক...... আমার নামঃ  -আমার ভাল নাম সেঁজুতি , ইংরিজিতে বানান বিভ্রাটে বেশির ভাগ লোকের কাছে আমি সেঞ্জুতি  , তাই আমার ডাক নামটা আমার বেশি পছন্দের, সেটা হোল ঝিল্লী, এই নামটা আমার দিদার দেওয়া। ট্যাঁ ট্যাঁ  করে সারাদিন চিৎকার করতাম বলে হয়ত।  আমি কী করি? -এটার উত্তর দেওয়া সবচাইতে সহজ। আমি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াই। আমার বয়স কত? - আমার জন্ম নব্বই দশকের গোড়ার দিকে। বাকিটা আর বললাম না।  আমার ঠিকানা -কেন এই তো - http://choshmaebongityadi.blogspot.in  তবে আমি যেখানে 'থাকি' সে জায়গাটা হোল কোলকাতা। রিলেশানশিপ স্ট্যাটাস   - টারমিনালি সিঙ্গেল  রিলিজিয়াস ভিউস   - কি সব্বনাশের প্রশ্ন !  আমার কী ভালো লাগে? -হেহ! সুপার হিরো কমিক্স (বিশেষত হারলি কুইন এ

পরশ পাথর

প্রিয় দিদি, ভালো আছ? অনেক সাহস করে তোমাকে চিঠি লিখছি। প্রেমে পড়ার প্রথম দিনটা সাধারণত সবার ই মনে থাকে। আমিও তার ব্যতিক্রম না। আমার ১১ বছরের জন্মদিন, বাড়ির বারান্দায়  বিকেল বেলা একটা সাদা জামা আর কমলা রঙ এর পাজামা পরে আমি তিরিং বিরিং করে লাফালাফি করছি আর ঠিক এই সময় পটলার আগমান। দেখেই তো চিরিক করে মাথায় আগুন...ওর থেকে ৩ বছরের ছোট বলে আমাকে খেলা নেয় না তাও  এই বাঁদর টাকে নেমন্তন্ন করেছে মা!!! হতভাগাকে বার ই করে দিতাম সোজা বাড়ি থেকে; হাতে চকচকে প্যাকেট টা দেখে আগের সব পাপ ক্ষমা করে দিলাম। খুব গম্ভীর মুখ করে প্যাকেটটা নিয়েই সোজা ছাতের ঘরে। খচমচ করে খুলে দেখি একটা বই, ওপরে রঙিন কালি তে লেখা ' 'ছোটদের অমনিবাস ' আর তোমার নাম 'লীলা মজুমদার'। তোমার সাথে সেই আমার প্রথম আলাপ।  আর সেই প্রেমে পড়া।   গোগ্রাসে বইটা শেষ করেছিলাম। তার পরের বার বই মেলা থেকে 'চিরকালের সেরা' এনে দিয়েছিলেন মা।  খালি মনে হত বড় ঘরের খাটের তলায় ভাল করে খুঁজলেই পেয়ে যাব। হাঁড়ি কলসি, ভাঙাচোরা খেলনা, সবজে নীল রঙের ধুলো পরা হ্যারিকেন, এই এত্ত বড় কাপড়ের পুঁটলি আর তার পেছনটা কুচকুচে কালো অন্ধক

যাচ্ছে তাই

Image
বেজায় গরম । গাছতলায় দিব্যি ছায়ার মধ্যে চুপচাপ শুয়ে আছি , তবু গোবরের গন্ধে   অস্থির । ঘাসের উপর গেরুয়া রুমালটা ছিল , নাক চাপা দেওয়ার জন্য যেই সেটা তুলতে গিয়েছি অমনি রুমালটা খিচখিচ করে দাঁত খিঁচিয়ে উঠল !  " কি আপদ !"  রুমালটা   দাঁত খেঁচায় কেন ? চেয়ে দেখি রুমাল তো আর রুমাল নেই , দিব্যি মোটা - সোটা কটকটে কমলা রঙের   একটা হনুমান নাক ফুলিয়ে প্যাট্ প্যাট্ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ! আমি বললাম , " কি মুশকিল ! ছিল রুমাল , হয়ে গেল একটা হনুমান । " অমনি হনুমানটা বলে উঠল , " মুশকিল  আ বার কি ? ছিল একটা দাঙ্গার মুখ , হয়ে গেল দিব্যি প্রধানম ন্ত্রি , ছিল একতা কাপুরের সিরিয়ালের সেট , হয়ে গেল লোকসভার মনু স্মৃতি ইরাণীর বক্তব্য , এ তো হামেশাই হচ্ছে । " আমি খানিক ভেবে বললাম , " তা হলে তোমায় এখন কি বলে ডাকব ? তুমি তো সত্যিকারের হনুমান নও , আসলে তুমি হচ্ছ রুমাল । " হনুমান বলল , " হনুমান বলতে পার , রুমালও বলতে পার , দেশপ্রেমিকও বলতে পার । &