Posts

Showing posts from March, 2017

পরিচিতি

জগতের যত কঠিন কাজ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ খুব সম্ভবত নিজের ইন্ট্রোডাকশান দেওয়া। আমি কে , আমি কী এর উত্তর দেওয়ার থেকে কঠিন কাজ নেই। আমার এই পুঁচকে ব্লগের বয়স খুব বেশিদিন না  এবং আদৌ কেউ এই ব্লগ পড়ে কিনা সে নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে , তাও  নিজের পরিচিতিটা দেওয়া উচিত, তা সে যত কঠিন কাজ ই হোক না কেন।  তাহলে শুরু করা যাক...... আমার নামঃ  -আমার ভাল নাম সেঁজুতি , ইংরিজিতে বানান বিভ্রাটে বেশির ভাগ লোকের কাছে আমি সেঞ্জুতি  , তাই আমার ডাক নামটা আমার বেশি পছন্দের, সেটা হোল ঝিল্লী, এই নামটা আমার দিদার দেওয়া। ট্যাঁ ট্যাঁ  করে সারাদিন চিৎকার করতাম বলে হয়ত।  আমি কী করি? -এটার উত্তর দেওয়া সবচাইতে সহজ। আমি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াই। আমার বয়স কত? - আমার জন্ম নব্বই দশকের গোড়ার দিকে। বাকিটা আর বললাম না।  আমার ঠিকানা -কেন এই তো - http://choshmaebongityadi.blogspot.in  তবে আমি যেখানে 'থাকি' সে জায়গাটা হোল কোলকাতা। রিলেশানশিপ স্ট্যাটাস   - টারমিনালি সিঙ্গেল  রিলিজিয়াস ভিউস   - কি সব্বনাশের প্রশ্ন !  আমার কী ভালো লাগে? -হেহ! সুপার হিরো কমিক্স (বিশেষত হারলি কুইন এ

আত্মশ্লাঘা এবং অন্যান্য

  ইশ কি বিশ্রী দিনকাল পড়েছে। রাস্তায় বেরোলে হাঁক পাঁক গরমে বিশ্রী হাল হচ্ছে, অটোতে উঠলে অটোওয়ালা খুচরোর জন্য ধমকাছেন, মিনি বাসের কন্ডাক্টর 'ভেতরে চাপুন, ভেতরে খালি' বলে গুঁতো মারছেন, অফিসে ছুটি নেই, পাহাড় যেতে চাইলেই যাওয়া যাচ্ছে না, পাতে পটল আর সজনে ডাঁটার মনোপলি চলছে-বিশ্বাসে মিলায় বস্তু আর মাটন বহু দূর কেস, বাড়ি ফেরার সময় অবধারিত রাস্তা পার হতে হতে আমার নাকের ডগা দিয়ে বাস বেরিয়ে যাচ্ছে, অগত্যা আবার অনাদি অনন্তকাল অপেক্ষা করতে হচ্ছে! পেনলপিকেও অডিসাসের জন্য এত অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে মনে হয় না। রোজ সকালে উঠে 'আজই এমন একটা কিছু করব যাতে নোবেল কমিটি পুরস্কার নেওয়ার জন্য হাত পা ধরাধরি করবে' জাতীয় পণ করে দিন শেষে বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছি আর হাতে থাকছে কেবল পেন্সিল! কী জঘন্য ব্যাপার। এইসব ঝঞ্ঝাটের মধ্যেও লোকজন মাউন্ট এভারেস্ট চড়ছে, হ্যান করছে ত্যান করছে আর আমি! অক্সিজেন ধ্বংস করে বসে বসে দেখছি! এইরকম চললে শিগগিরই হতাশায় এই সপ্তাহের দু নম্বর কুলফিটা পেটে যাবে এবং আমার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট উদরের পক্ষে সেটা মোটেই ভালো কথা না! অগ্যতা নিজেকে সাহস দিতে এবং আমি যে একেবারে অপদার্থ নই

জেঠালালের দেশ আর ভুলভাল গল্প

Image
----আগের দিনের পর---- সোনার কেল্লা দেখে আমরা চললাম আমাদের পরের গন্তব্য মানে মরুভূমির উদ্দেশ্যে। বাস থেকে দুপুরের রোদে ঝামা পোড়া রোদে যখন এসে নামলাম তখন চোখ খুলে তাকানো যাচ্ছে না, এত তেজ রোদের। নামতে না নামতেই দুজন ঢোলা ধূসর রঙের জোব্বা পরা লোক ছুটে এলেন। এঁরাই জিপ সাফারিতে নিয়ে যাবেন। আমি আর দীপাঞ্জলি বাংলায় গুজুর গুজুর করছিলাম সেটা হয়তো ওনাদের কানে গেছিল, ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় চলুন চলুন বলে হাসতে হাসতে নিয়ে গেলেন জিপের কাছে। এদের নানা ভাষার প্রতি দখল দেখলে অবাক হতে হয়। বিশেষত যখন খাঁটি মার্কিনি উচ্চারণে ইংরিজি বলছিলেন আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের অপদার্থতায় লজ্জা পেয়েছিলাম- 'নেভার বিন টু স্কুল ম্যাডাম। বাট উই ক্যান স্পিক ইংলিশ ওয়েল। অলসো ক্যান টেক ইওর পিকচার্স ইফ ইউ উইশ।' মরুভূমির এবড়ো খেবড়ো জমিতে প্রচন্ড গতিতে জিপ লাফাতে লাফাতে এগোচ্ছে, স্টিরিওতে ওখানকার লোকসংগীত আর আমাদের কয়েকজনের মিলিত চিৎকার হাওয়ার ঝাপটায় সাথে মিলে মিশে যাচ্ছিল। সব সময় চুপচাপ থাকা হারশিৎ(হরষিত লিখছিলাম, পরে মনে পরল প্রথমদিন ঐরকম উচ্চারণ করায় বেচারা কিরকম একটা উচ্ছে সেদ্ধ খাওয়া মুখ করে ধপ করে বসে পড়েছিল। তার